ফারেগ হওয়া মানেই কিন্তু আলেম হওয়া নয়

মরা সাধারণত মনে করে থাকি যে দাওরায়ে হাদিস থেকে ফারেগ হওয়া মানেই আলেম হয়ে যাওয়া। একারণেই বিদায়ী স্মৃতি ক্যালেন্ডার ও ডায়েরীতে বড় গর্ব করে লেখি “এবার যারা আলেম হলেন।” যারা ফারেগ হন তারাও বিভিন্ন চেষ্টা তদবীরের মাধ্যমে অনেক টাকা পয়সা জোগাড় করে বেশী সংখ্যক ক্যালেন্ডার ও ডায়েরী সংগ্রহ করেন এবং অনেকটা গর্বভরে পরিচিত সকলের নিকট হাদিয়্যাহ হিসেবে প্রেরণ করেন। এটাই বর্তমান সময়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মপদ্ধতি। কিন্তু বাস্তবতার বিচারে এ দৃষ্টিভঙ্গি কতটুকু সঠিক তা কি আমরা কখনও ভেবে দেখেছি?
দারুল উলুম দেওবন্দের সাবেক শায়খুল হাদিস ও সদরুল মুদাররিসীন, আমার প্রাণাধিক প্রিয় হযরতুল উস্তায মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরী (রহ.) এর যবান থেকে বিভিন্ন সময়ে এবিষয়ে অনেক কথাবার্তা শুনার সৌভাগ্য আল্লাহ তাআলা দান করেছেন। বক্ষমান প্রবন্ধে উক্ত বিষয়ে হযরতের যবান মুবারক থেকে শ্রুত বিক্ষিপ্ত কথাগুলোকে একত্রিত করে কিছুটা সংযোজন বিয়োজনের মাধ্যমে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করার প্রয়াস করছি।
হযরত প্রায়ই বলতেন, তোমরা মনে কর দাওরা থেকে ফারিগ হওয়া মানেই পড়ালেখা শেষ। এখন আমরা আলেম হয়ে গেছি। অথচ এটাই তোমাদের সবচেয়ে বড় ভুল। কারণ এখনই তুমি আলেম হয়ে যাওনি। বরং আলেম হওয়ার যোগ্য হয়েছ মাত্র। আলেম তো হবে আগামীতে যদি চেষ্টা করতে পার।
আমাদের দারসে নেযামীর সিলেবাস এবং ক্লাস সমূহকে যেভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে, তা কাউকে আলেম বানানোর উদ্দেশ্যে করা হয়নি। বরং আলেম হওয়ার যোগ্য বানানোর উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে। একজন তালিবুল ইলম যদি দারসে নেযামীর সকল সিলেবাস এবং সকল ক্লাস ধারাবাহিক ভাবে পরিপূর্ণ হক আদায় করে সমাপ্ত করতে পারে, তবে এর ফলে তার মধ্যে এতটুকু যোগ্যতা অর্জিত হবে যে, এখন যদি মুতালাআ’য় লেগে যায় এবং নির্দিষ্ট সময় কাল পর্যন্ত একনিষ্টতার সাথে তাতেই নিমগ্ন থাকে, তাহলে ইনশাআল্লাহ সে বাস্তবিক আলেমে পরিণত হতে পারবে।
উলুমে ইসলামিয়্যাহ সর্বমোট দুই প্রকার। এক প্রকার হল ওয়াসায়েল বা মাধ্যম জাতীয় উলুম, আরেক প্রকার হল মাকাসেদ বা মূল উদ্দেশ্য।
মাকাসেদ বা মূল উদ্দেশ্য হল ছয়টি। তাফসীর ও উসূলে তাফসীর, হাদিস ও উসূলে হাদিস এবং ফিকহ ও উসূলে ফিকহ। আরো সংক্ষেপে বললে কোরআন, হাদিস ও ফিকহ এর উলুমকেই মূলত ইলম বলা হয়। এছাড়া যেসব শাস্ত্র যেমন সরফ, নাহু, ইনশা, আদব, বালাগাত, মানতিক ইত্যাদি যা আমাদের দারসে নেযামীতে রাখা হয়েছে তা মূলত কোরআন, হাদিস ও ফিকহ এর ইলম অর্জনের মাধ্যম হিসাবেই রাখা হয়েছে।
যে তালিবুল ইলম মাধ্যম জাতীয় সকল শাস্ত্র পূর্ণরূপে আয়ত্ত্ব করতে পারবে, তার জন্যই কোরআন, হাদিস ও ফিকহ এর ভাষা ও মর্ম উপলব্ধি করা সম্ভব হবে। আর যার মধ্যে এসব শাস্ত্রীয় কমতি থেকে যাবে, তার জন্যে কোরআন, হাদিস ও ফিকহের ভাষা ও মর্ম উদ্ধার অনেকটা দুষ্কর হয়ে পড়বে। একারণেই আমাদের দারসে নেযামীর পাঠ্যসূচীর বিশাল অংশ জুড়ে রাখা হয়েছে এসব মাধ্যম জাতীয় শাস্ত্রীয় কিতাবাদি।
হযরতুল উস্তায (রহ.) বলতেন, মাধ্যম জাতীয় সকল শাস্ত্রে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের সর্বশেষ সীমারেখা হল ‘দরজায়ে সানোবিয়্যাহ’ তথা মুখতাসার জামাত পর্যন্ত। এ পর্যন্ত পড়ার পরও যদি কোন তালিবুল ইলমের সরফ, নাহু, ইনশা, আদব, বালাগাত, মানতিক ইত্যাদি যাবতীয় শাস্ত্রে প্রয়োজন পরিমাণ দক্ষতা অর্জিত না হয়, তাহলে তাকে পরবর্তী জামাতে উঠানো মোটেও ঠিক হবে না। বরং তা অর্জনের পূর্ব পর্যন্ত সেখানেই রেখে দেওয়া উচিৎ হবে। নতুবা সে উপরের জামাতের কিতাবাদি থেকে তেমন উপকৃত হতে পারবে না। যার প্রমাণ ও সত্যতা আজ সকলের চোখের সামনে।
একবার আমাদের এক সাথী হযরতুল উস্তায (রহ.) কে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, বাংলাদেশে দাওরায়ে হাদিসকে দুই বৎসর ব্যপী করার পরিকল্পনা চলছে। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি? হযরত বললেন, যতদিন পর্যন্ত নিজেদের কর্মপদ্ধতি পরিবর্তন না করবে, ততদিন পর্যন্ত দাওরায়ে হাদিস দুই বৎসর না, দশ বৎসর করলেও কোন লাভ হবে না। যে তালিবুল ইলমের ‘মাধ্যম জাতীয়’ শাস্ত্রে প্রয়োজন পরিমাণ দক্ষতা অর্জিত হয়নি, তাকে উপরের জামাতে তুলে দেওয়া বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় এসব চেষ্টা তদবীর সব বিফলে যাবে।
এটাই হল দারসে নেযামীর প্রকৃত পাঠদান পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে যদি শ্রেণী উত্তীর্ণের প্রক্রিয়া চালানো হয়, তাহলে একজন তালিবুল ইলম প্রয়োজনীয় যোগ্যতা নিয়েই ‘দরজায়ে সানোবিয়্যাহ’ অতিক্রম করবে। এবং পরবর্তী স্থরের কিতাবাদি আয়ত্ত্ব করাও তার জন্য সহজ ও সম্ভব হবে।
মাধ্যম জাতীয় শাস্ত্র সমূহে প্রয়োজন পরিমাণ দক্ষতা অর্জিত হবার পর এবার তালিবুল ইলমদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ফিকহ ও উসূলে ফিকহের বড় বড় কিতাবাদি, তাফসীর ও উসূলে তাফসীরের কিতাবাদি এবং হাদিস শরীফ ও উসূলে হাদিসের কিতাবাদি। কিন্তু লক্ষনীয় বিষয় হল এখনও তাদেরকে নিজের মত করে এসব পড়তে ছেড়ে দেওয়া হয়না। বরং এসব কিতাবাদিও আসাতিযায়ে কেরাম অক্ষরে অক্ষরে পড়িয়ে বুঝিয়ে দেন। এর কারণ হল শুধুমাত্র প্রাথমিক স্তরের বিষয়াদি আয়ত্ত্ব করে ফেললেই কোরআন, হাদিস ও ফিকহের সঠিক জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হবে না। বরং এখন প্রয়োজন আমাদের পূর্ববর্তী সালাফ কোরআন, হাদিস ও ফিকহকে যেভাবে বুঝেছেন সেভাবে বুঝার যোগ্যতা অর্জন করা। এ যোগ্যতাটি শুধু একা একা অধ্যয়ন করলেই অর্জিত হবে না। বরং সালাফদের সান্নিধ্যে থেকে এ যোগ্যতা অর্জনকারীদের ধারাবাহিক পরম্পরায় চলে আসা তাদের প্রকৃত উত্তরসুরী যোগ্য উস্তাযের সান্নিধ্যে থেকেই অর্জন করতে হবে। এটি এমন এক সিলসিলা যা ‘মদিনাতুল ইলম’ প্রিয়নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে নিয়ে পর্যায়ক্রমে আমাদের আসাতিযা পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে। একারণেই সঠিক ইলমের ক্ষেত্রে সনদের গুরুত্ব অপরিসীম।
যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে নিয়ে ধারাবাহিক পরম্পরায় চলে আসা ইলমের অধিকারী হতে পেরেছেন, তাদের সান্নিধ্যে থেকে যদি কোরআন, হাদিস ও ফিকহের শিক্ষা গ্রহণ করা হয়, তবেই একজন তালিবুল ইলম সঠিক জ্ঞানের সন্ধান পাবে। নতুবা উল্টো গুমরাহ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যাবে। বর্তমানে একারণেই আমাদের সমাজে অসংখ্য মানুষ গুমরাহিতে পতিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
আমাদের দারসে নেযামীতে আসাতিযায়ে কেরাম তালিবুল ইলমদেরকে কোরআন, হাদিস ও ফিকহের হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি কিতাব পড়িয়ে দেন। সব কিতাব পড়ান না। এর কারণ হল সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত কিতাবগুলিই যদি একজন তালিবুল ইলমকে সঠিক ভাবে পড়িয়ে দেয়া যায়, তাহলে এর মাধ্যমেই সে কোরআন, হাদিস ও ফিকহের অবশিষ্ট কিতাবগুলো সঠিকভাবে বুঝার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলবে। তাই সিলেবাসের যৎসামান্য কিতাবাদি পড়িয়েই আসাতিযায়ে কেরাম তালিবুল ইলমকে মাদরাসা থেকে বিদায় দিয়ে দেন। কারণ এখন আর তাকে হাতে কলমে পড়িয়ে দিতে হবেনা। বরং এখন সে নিজে নিজেই সকল কিতাবাদি হল করতে পারবে। তাই উনাদেরকে বিদায় দিয়ে আসাতিযায়ে কেরামগন অন্যান্য তালিবুল ইলমদেরকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। যাতে তাদেরকেও এভাবে যোগ্য করে তুলতে পারেন। উনাদের মধ্যেও যারা যোগ্য হয়ে যাবেন, তাদেরকেও পর্যায়ক্রমে বিদায় জানাবেন। এভাবেই চলতে থাকে সত্যিকার মানুষ গড়ার কারখানাগুলো।
মৌলিক যোগ্যতা অর্জন করে মাদরাসা থেকে চলে আসার পর যদি একজন তালিবুল ইলম মুতালাআ’র মধ্যে ডুবে যায় এবং একাধারে বিশ বৎসর পর্যন্ত (বিশ বৎসর দ্বারা উদ্দেশ্য দীর্ঘকাল পর্যন্ত) কিতাবাদি অধ্যয়নের সাথেই লেগে থাকে, তাহলে এখন তার মধ্যে যে যোগ্যতা সৃষ্টি হবে সেটাই হল প্রকৃত ইলম। এবং এ ইলমের অধিকারী ব্যক্তিকেই বলা হবে প্রকৃত আলেম।
যখন একজন তালিবুল ইলম সত্যিকার আলেমে পরিণত হবে, তখন তার সামনে ভাল-মন্দ মিশ্রিত যাই উপস্থাপন করা হোক না কেন, সে আপন ইলমী যোগ্যতা বলে তা চিহ্ণিত করতে সক্ষম হবে। এবং এর মাধ্যমেই সে পদস্খলিত হওয়া থেকে বেঁচে যেতে পারবে। কেননা এখন তার মধ্যে ভাল মন্দ যাচাইয়ের যোগ্যতা তৈরী হয়ে গেছে।
একারণেই আমাদের আকাবীরগন তালিবুল ইলমদেরকে বিভিন্ন মতবাদের বিভিন্ন প্রকারের কিতাবাদি অধ্যয়ন করতে নিষেধ করেন। হযরত থানবী (রহ.) তো বাতিলের মুকাবিলা করার উদ্দেশ্যেও তাদের কিতাবাদি পড়া থেকে বেঁচে থাকতে বলেন। কারণ তাদের চিত্তাকর্ষক রচনাশৈলী ও চমৎকার ভঙ্গিমায় উপস্থাপনের ফাঁদে পড়ে একজন স্বল্প যোগ্যতার অধিকারী তালিবুল ইলম সহজেই পদস্খলিত হয়ে যেতে পারে। তাই যতদিন পর্যন্ত যোগ্যতা অর্জিত হয়নি, ততদিন পর্যন্ত বাতিলের খন্ডনের উদ্দেশ্যেও তাদের কিতাবাদি অধ্যয়ন করা উচিৎ হবেনা। হ্যা, যোগ্যতা অর্জন হওয়ার পর অধ্যয়ন করুন। এবার পদস্খলিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যাবে।
যোগ্যতা অর্জিত হবার পূর্ব পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকারের কিতাবাদি পড়া থেকে আকাবীরদের নিষেধাজ্ঞার উদাহরণ স্বরূপ হযরতুল উস্তায (রহ.) নিজের একটি ঘটনা আমাদেরকে শুনিয়েছেন। পাঠকদের উপকারার্থে ঘঠনাটি হুবহু তুলে ধরছি।
হযরত বলেন; আমি যখন মাযাহিরে উলূম সাহারানপুরে পড়তাম, তখন আমাদের একজন উস্তায ছিলেন হযরত মাওলানা ইয়াহইয়া সাহেব (রহ.)। ঘটনটি হল একদিন আমি মওদুদি সাহেবের একটি বই পড়ছিলাম। হঠাত চলে আসলেন উস্তায। উস্তাযের আগমন ঠের পেয়ে আমি সাথে সাথে কিতাবটি লুকিয়ে ফেলি। কিন্তু উস্তাদজী বিষয়টি বুঝে ফেললেন, তবে উপস্থিত কিছু বললেন না।
মাগরিবের নামাজের পর হযরত খবর পাঠালেন যেন দারুল ইফতায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাত করি। আমি গেলাম। হযরত জিজ্ঞাসা করলেন কি পড়তেছিলে? আমি বললাম মওদুদি সাহেবের অমুক কিতাব। হযরত তখন বললেন “আভি তুম মওদুদি কি কিতাবে মত পড়হো” অর্থাত তুমি এখনই মওদুদির কিতাবাদি পড়োনা। ব্যস, উস্তাযের কথামত তখন থেকেই আমি মওদুদির কিতাবাদি পড়া ছেড়ে দিয়েছি। এর পর থেকে কখনও মওদুদির কোন কিতাব হাতে নিয়েও দেখিনি।
এভাবে দিন কাল চলতে থাকল। আমি মাযাহিরে উলূম থেকে দারুল উলূমে আসলাম। দারুল উলূম থেকে দাওরা ও ইফতা পড়ে ফারিগ হলাম। অতপর গুজরাটের একটি প্রসিদ্ধ মাদরাসা “দারুল উলূম রান্দের” এ খেদমত শুরু করলাম। রান্দের মাদরাসায় খেদমতের সপ্তম বৎসর হঠাত আমার নিকট একটি চিঠি আসল। আমি চিঠিটি খুললাম। তো সেখানে লেখা ছিল “আযীযম! আব তুম মওদুদি কি কিতাবে পড় ছিকতে হো। ওয়াসসালাম; মুহাম্মদ ইয়াহইয়া গুফিরালাহু” অর্থাত হে স্নেহস্পদ! এখন থেকে তুমি মওদুদির কিতাবাদি পড়তে পারবে।
চিন্তা করুন! এত বৎসর পর হযরত মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরী (রহ.) কে আপন উস্তায কেন বলছেন এখন থেকে তুমি তা পড়তে পারবে? অবশ্যই এর উত্তর হবে যে, উনি বুঝতে পেরেছেন তার শিষ্যের মধ্যে এখন যোগ্যতা এসে গেছে। এখন তার সামনে ভুলকে সুন্দর ভাষায় উপস্থাপন করলেও আর পদস্খলিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই তিনি এখন অনুমতি প্রদান করছেন।
এ ঘটনা থেকে আমাদেরও শিক্ষা নেওয়া দরকার যে, আমরাও যেন ইলমে পরিপক্ক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পথভ্রষ্ট, বাতিল ও নাস্তিক মুরতাদের যাবতীয় কিতাবাদি পড়া থেকে পূর্ণরূপে বেঁচে থাকার চেষ্টা করি। শুধুমাত্র দারসিয়াত ও তৎসংশ্লিষ্ট কিতাবাদি অধ্যয়নের মধ্যেই নিজেদেরকে সীমাবদ্ধ রাখি। এবং ফারেগ হওয়ার সাথে সাথেই নিজেকে আলেম মনে না করে ইলমে পরিপক্ক হওয়ার প্রতি সকল মনযোগ নিবদ্ধ রাখি। এভাবে যদি আমরা একাগ্রতার সাথে মেহনত করতে থাকি, তাহলে আল্লাহ তাআলার নিকট আশা করা যায় যে তিনি আমাদেরকে ও মাহরূম করবেন না।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আকাবীর ও আসলাফের পদাঙ্ক অনুস্মরণের মাধ্যমে সঠিকভাবে ইলম অর্জন করার তাওফীক দান করুন, আমিন।

লেখক
মুহাম্মদ সায়েম কাসিমি
উস্তায, জামেয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া শামীমাবাদ, সিলেট
৯ সফর ১৪৪২ হিজরী, রবিবার, সময়: দুপুর ৩:৩০ মিনিট