বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

সম্মানিত সভাপতি, উপস্থিত শুরা সদস্য, শুভাকাঙ্খী ও সুধীবৃন্দ!

প্রথমেই রাব্বে কারীমের শুকরিয়া আদায় করছি, যার অশেষ মেহেরবানীতে করোনা উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আমরা তালিম তারবিয়াতের কাজ সুচারুরূপে আঞ্জাম দিতে পারছি এবং সে লক্ষ্যেই একত্রিত হতে পেরেছি। এরপর উপস্থিত মেহমানদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি, যারা শত ব্যস্ততা ও প্রতিকূলতার মাঝেও আমাদের আহবানে সাড়া দিয়েছেন। আন্তরিক মোবারকবাদ ও শুকরিয়া জানাচ্ছি জামেয়ার মুহতামিম জনাব হাফিজ মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদ সাহেব হাফিযাহুল্লাহ। যার দিন-রাত একাকার করা অক্লান্ত-ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জামেয়া শামীমাবাদ তার অভিষ্ট লক্ষ্যপানে এগিয়ে চলছে।

জামেয়া শামীমাবাদ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তালিম ও তারবিয়াতের সমন্বয়ে সুন্নাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও জামাতে সাহাবা রাযিয়াল্লাহু আনহুম এর অনুসারী গোটা বিশ্ববাসীকে সত্যের পথে আহবানকারী একঝাঁক নায়েবে নবী গঠন করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে।

তালিম ও তারবিয়াতের মান উন্নত করার লক্ষ্যে জামেয়া নির্বাচন করেছে একঝাঁক দক্ষ তরুণ মেধাবী ও দেশসেরা মাদরাসা সমূহের বাছাইকৃত ছাত্রদের দ্বারা উস্তাদ স্টাফ। যাদের নিরলস প্রচেষ্টায় করোনা আক্রান্ত দূর্যোগপূর্ণ এই সময়েও জামেয়ার শিক্ষাকার্যক্রম যথারীতি শুরু হয়ে অধ্যাবধি অব্যাহত রয়েছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি দাওয়াতের সুবাতাস সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ছাত্রদের জন্য সাপ্তাহিক বক্তৃতা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। দক্ষ লেখক তৈরীর জন্য রয়েছে আরবী-বাংলা দেয়ালিকা প্রকাশ। বোর্ডের কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় ভাল ফলাফল অর্জনের জন্য জামাত ভিত্তিক সার্বক্ষণিক নেগরানীরও ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে দুর্বল ছাত্রদের জন্য বিষয়ভিত্তিক আলাদা মেহনত।

তালিম ও তারবিয়াতের উত্তরোত্তর উন্নতির লক্ষ্যে আসাতিযায়ে কেরামের পাক্ষিক মজলিসে ইলমী হয়ে থাকে এবং ছাত্রদের আমলী-আখলাকী স্পৃহা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বৃহস্পতিবার বাদ এশা ইসলাহী বয়ান করত জামেয়ার শুভানুধ্যায়ী-শুভাকাঙ্খীদের সার্বিক কল্যাণ কামনায় দু’আ করা হয়।

আলহামদুলিল্লাহ! আসাতিযায়ে কেরামের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও ছাত্রদের মেহনতের ফলে অতি অল্প দিনেই জামেয়া শামীমাবাদের সুনাম চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। মাদরাসার পরীক্ষা এবং বোর্ডের কেন্দ্রীয় পরীক্ষাসমূহে অংশগ্রহণ করে জামেয়ার ছাত্ররা আশাতীত সফলতা অর্জন করেছে।

এখন আপনাদের সামনে বিগত সনের বোর্ড পরীক্ষার রেজাল্ট তুলে ধরছি:

বিগত বছর করোনা উদ্ভুত পরিস্থিতির ফলে সব বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য সানাবিয়্যাহ উলয়া (মুখতাসার) জামাতে ১০ জন, মুতাওয়াসসিতায় ১৯ জন, ইবতিদাইয়্যাহয় ১১ জন এবং তাহফিজুল কুরআন বিভাগে ৪৪ জন  (মোট ৮৪ জন) নিবন্ধন ফরম জমা দিয়েছিল।